MM
INSTITUTION – MALAY MAITY
WHATS APP FOR NOTES-9775015054
FST FINAL FREE NOTES
আদিম সমাজে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও
হাতিয়ার তৈরির মাধ্যমে কিভাবে বিজ্ঞানের উৎপত্তিহয় তা ব্যাখ্যা করুন?
ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি আদিম সমাজে প্রাচীন
মানুষ হাতিয়ার এবং যন্ত্রের ব্যবহার, আগুনে রান্না করা, পশু শিকার, গাছ থেকে ফল
বীজ খাদ্য হিসেবে সংগ্রহ করা থেকে নানারকম জ্ঞান সঞ্চয় করেছিল। এইসব জ্ঞান
ধর্মীয় আচরণ ও পৌরাণিক কাহিনীর সংমিশ্রণে
তাদের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল। এবার আমরা আলোচনা করব এর থেকে বিজ্ঞানের
উৎপত্তিহয়েছে--
হাতিয়ার তৈরি এবং তার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে
মানুষ প্রকৃতিতে অনেকখানি নিজের আয়ত্তে আনতে পেরেছিল। এর ফলে দৃঢ় বস্তু, জড়
সংক্রান্ত বলবিদ্যা, গতিবিদ্যা, পদার্থের ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর জ্ঞানের ভিত্তি
রচিত হয়েছিল। তীর-ধনুক বর্শা ও
বুমেরাং এর ব্যবহার তার প্রকৃত উদাহরণ।লিভারের
ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার একদিকে চাপ দিলে, অন্যদিকে কী প্রতিক্রিয়া হবে, সে
সেটাজেনে ফেললাে। এইসব কলকজার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যক্ষ
যােগাযােগ স্থাপিতহয়, তার সুফল দেখা ও অনুভব করা যায়। এইভাবেই জন্ম নিলবােধ ওআত্মবিশ্বাস।
অন্তত একটিবিষয়ে সে বুঝল, আসলে কীভাবে কাজগুলি হয়।
কোন
ঘটনা প্রকৃতিতে নিয়মিত ঘটতে দেখলে মানুষ তার অর্থ না বুঝলেও তার সুযােগনিত।কোন্
পরিস্থিতিতে কখন এবং কি আশা করা যায়সুযােগনেওয়ার পক্ষে সেটুকু জানাই তাদের কাছে।
যথেষ্ট ছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা
লক্ষ্য করেছিল জমির উর্বরতা ঋতু অনুযায়ী বদলে যায়।
গাছের বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণীরআনাগােনাও ঋতু
পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিতহয়। ফল এবং বীজ বছরেরএকটা বিশেষ সময়েপাওয়াযায়, অন্য
সময়ে নয়। পাখির ঝাঁক, মহিষ এবং হরিণের দল ঋতু পরিবর্তনেরসঙ্গে স্থান বদল করে।
বেঁচে থাকার প্রয়ােজনেই প্রস্তরযুগের মানুষ এইসব পর্যবেক্ষণ করেছিল। এই।ঘটনা ভারত
এবং মিশরে, যেখানে ঋতু পরিবর্তন এবং ভৌগােলিক বিভাজন খুব স্পষ্ট, সেইসব
অঞ্চলেরক্ষেত্রে বিশেষ করে সত্য। এর থেকেই পরিবেশ ও প্রকৃতির সুশৃঙ্খল পর্যবেক্ষণ
এবং তার সযত্ন বিবরণেরভিত্তি রচিত হল। রান্না করা বা মদ প্রস্তুত করার সময়ে,
বলবিদ্যার মত সহজে বলা সম্ভব ছিল না কোন কাজেরফলে ঠিক কি ঘটবে। উদাহরণ হিসেবে বলা
যায়, একটা পাথরকে ওপর দিকে ছুঁড়লে তা নীচে আসবে।তা যে কেউ বলতে পারে। তেমনি
গাছের কোন ফল বা পশুকে ঠিকমত লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে।
লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করবে, এটাও নিশ্চিত। কিন্তু
রান্নার ক্ষেত্রে, কি জাতীয় খাবার রান্না করা হচ্ছে,কতটা জলীয় পদার্থ তাতে আছে,
কতক্ষণ ধরে আগুনের ওপর রাখা আছে এবং আগুনের তেজ কতটা।এমন অনেক কিছুর ওপরে রান্নার
ফলাফল নির্ভর করে। মদ তৈরি করার পদ্ধতি তাে আরও জটিল।সতরাং এই বিষয়গুলিতে অনেক
রকম অনিশ্চয়তা ছিল। অবশ্য কেউ কোন ব্যাপারে প্রথমবার চেষ্টা।করার সময়ে ঠিক কি
ঘটেছিল তা যদি লক্ষ্য করে থাকে এবং মনে রাখে, তাহলে দ্বিতীয় প্রচেষ্টারসময় কি
ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে সে খানিকটা আন্দাজ করতে পারবে। এই বিষয়ে এবং বিশেষ।করে
পশুদের আচরণের ক্ষেত্রে লব্ধ জ্ঞান মুখের কথার মাধ্যমে বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত
হয়েছে। তবেঅনেক সময়েই ‘টোটেম’ পূর্বপুরুষ বা আত্মাকে জড়িয়ে পৌরাণিক পটভুমিতে
পর্যবেক্ষণ পরিলক্ষিতবিষয়গুলির ব্যাখ্যা খোঁজা হত।
বিভিন্ন জিনিস বা ঘটনার মধ্যে নানা ধরনের সাদৃশ্য
শ্রেণীবিভাগের সূচনা করে। প্রথমে শ্রেণীবিভাগ।হয় প্রাণবন্ত জীব, জিনিস (বস্তু ও
পদার্থ অর্থাৎ অজৈব) এবং আবেগ বা কাজের মধ্যে। এর থেকেকার্যকারণের এক ধরনের
ব্যাখ্যা পাওয়া গেল। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর একজন সদস্য যেরকম আচরণকরে সেই
শ্রেণীর অন্যান্যরাও তেমনই আচরণ করবে। এই জ্ঞানসঞয় এবং অভিজ্ঞতার ঝাড়াই
বাছাই‘আদি’ রসায়ন এবং জীববিদ্যার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।।
প্রস্তর যুগের শেষভাগে আদিম মানুষকে কোন কোন জিনিস ব্যবহার
করতে দেখা গেছে?
প্রস্তর যুগের শেষ দিকে-
1) জোড়াদেয়া ধনুক,
২) নরওয়েরচামড়ার
ডিঙ্গি নৌকার বহিঃরেখা
৩)শস্য গুড়ির
করবার যাতা পাথর ৪)পাথর গর্ত করার তুরপুন ৫)কাপড় বোনার তাঁত
৬)গাছের গুড়িখোঁদাই করে তৈরি নৌকা প্রভৃতি ব্যবহার করতে
দেখা গেছে।
প্রস্তর যুগের পরিসমাপ্তি ঘটল এবং
ভারতীয় উপমহাদেশে আর কিরূপ প্রভাব পড়ল?
প্রস্তরযুগের
শেষদিকে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ইউরােপ এবং সমগ্র উত্তর গােলার্ধে
অত্যন্তশীতল হিমযুগের সূচনা হওয়ায়পশুশিকার এবং খাদ্যসংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ল। ফলে
অন্য ধরনেরউৎপাদনের সাহায্যে মানবগােষ্ঠীকে টিকে থাকার চেষ্টা করতে হ’ল। পরের অংশে
এ ব্যাপারে আলােচনা।করা হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে, ভারতীয় উপমহাদেশে
(পাকিস্তানের কিছু অংশ, আফগানিস্তানএবং মায়ানমার সহ) হিমযুগের প্রভাব ইউরােপের মত
প্রবল ও ব্যাপক হয়নি। সুতরাং পরিমাণ ও বৈচিত্র্যেরবিচারে ইউরােপেরতুলনায় এখানে
খাদ্যসংগ্রহ করা ছিল অপেক্ষাকৃত সহজ। প্রধান খাদ্য হিসেবেইউরােপে যেখানে মাত্র
আধডজনদানাশস্য, মটর এবং বীজের সন্ধান মেলে, সেখানে ভারতীয়উপমহাদেশে মহারাষ্ট্রের
মত অতি সাধারণ উর্বরতার জমিতেও চল্লিশ রকম শস্যদানার প্রচলন ছিল।
এই দুই স্থানে পরবর্তীকালের অগ্রগতিতে এর যথেষ্ট প্রভাব
দেখা দিয়েছিল।অবশ্য এই সৌভাগ্যের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে
প্রস্তুরযুগের প্রভাব ইউরােপেরতুলনায় অনেক বেশিদিন বর্তমান ছিল। প্রতিবেশী
দেশগুলিতে মানুষ যেখানে কৃষিকাজের ওপর নির্ভর।করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনও
এখানকার মানুষ খাদ্যসংগ্রহ করেই টিকে যেতে পেরেছিল। এর।ফলে কয়েক শতাব্দী ধরে,
এমনকি আধুনিক যুগেও, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের প্রাথমিক ধারণা নিয়েএক প্রাচীন সংস্কৃতি
এখানে চালু রয়েগিয়েছিল, যেমনটিইউরােপেঘটেনি। দু’টি সমান্তরাল সংস্কৃতিএবং
উৎপাদনের পদ্ধতির মধ্যে কিছু যােগাযােগ বর্তমান ছিল। কখনও কখনও তা সংঘাতেরও
সৃষ্টিকরেছে, যেমন আমরা তৃতীয় এককে দেখব। কৃষিযােগ্য জমির সন্ধানে আর্যজাতি এবং
স্থানীয়আদিবাসীদের মধ্যে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ বেধেযায়। স্থানীয় আদিবাসীরা
প্রত্যন্ত অঞ্চলে অপসারণ করতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে, আবার পুরানো বিশ্বাস এবং
রীতিনীতি নতুন উৎপাদন পদ্ধতির প্রক্রিয়াকেপ্রভাবিত করেছে।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Thank you for contacting MM INSTITUTION! Please let us
know how we can help you.
👉👉join my telegram
group:
👉👉join my Facebook
page:
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!