MM INSTITUTION
MALAY MAITY
PH / WHATS APP FOR NOTES 9775015054
EBG
FREE NOTES : MOST IMPORTAN TOPIC
চর্যাপদ এর
আবিষ্কার, রচনাকাল, কবি পরিচিতি, কাব্যমূল্য, সমাজ ও লৌকিক জীবন-
উত্তর:
চর্যাপদের আবিষ্কার :
সাংস্কৃতিক ঐক্যের একটি
প্রধান উপাদান হলাে ভাষা। কেননা
ভাষার মাধ্যমেই কোনাে জাতির
সাংস্কৃতিক
বৈশিষ্ট্য ও উত্তরাধিকার প্রকাশিত
হয়। বাংলা
ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ’-এ বাঙালির।
ভাষা,
সমাজ ও সংস্কৃতি কেমনভাবে
প্রতিফলিত হয়েছিল তা দেখা যাক। তবে
তার আগে এই ‘চর্যাপদ
আবিষ্কার
হলাে কীভাবে? তার পাঠোদ্ধার করে
কী পাওয়া গেল? এগুলাে
আমরা একে একে জেনে
নিয়ে
এগােতে থাকি, তাহলে আস্তে
আস্তে সমস্তটাই স্পষ্ট করে বােঝা
যাবে। বিংশ
শতাব্দীর প্রথমদিকে
১৯০৭
খ্রিস্টাব্দে মহামহােপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে একটি পুথি।
সংগ্রহ
করে আনেন। অন্য
দুটি অপভ্রংশ রচনার সঙ্গে একত্রে
এর নাম ছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়'। এই
ঘটনার
প্রায় দশ বছর পরে
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য
পরিষৎ থেকে তার সম্পাদনায়
হাজার
বছরের
পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান
ও দোহা’
নামে গ্রন্থাকারে এটি প্রকাশিত হয়। এই
গ্রন্থটিতে।
ছিল
সংস্কৃত টীকাসহ ধর্মাচরণের বিধিনিষেধ
বিষয়ক মােট সাড়ে ছেচল্লিশটি
(৪৬টি সম্পূর্ণ গান এবং
১টি
খণ্ডিত বা অসম্পূর্ণ গান)
এবং বৌদ্ধাচার্য সরােজবজ্র ও কৃষ্ণাচার্য রচিত
দোহা। সাধারণভাবে
লােকমুখে
এটিই চর্যাপদ বা চর্যাগীতি নামে
পরিচিত। এর
বেশ কিছুকাল পরে প্রবােধচন্দ্র বাগচী
মহাশয়
নেপাল
থেকেই চর্যাপদের অন্য একটি তিব্বতি
অনুবাদ আবিষ্কার করেন। তিব্বতিতে
প্রাপ্ত পদ বা
গানের
সংখ্যা একান্ন। যা
থেকে বােঝা যায় মূল
বইয়ে মােট একান্নটি পদ
বা গান ছিল।
যাইহােক এই
চর্যাপদের
আবিষ্কার বাংলা ভাষা ও
সাহিত্যের একটি যুগান্তকারী ঘটনা। কেননা
চর্যাপদ হলাে একই
সঙ্গে
বাংলা ভাষা এবং নব্য
ভারতীয় আর্যভাষার (NIA) প্রাচীনতম দৃষ্টান্ত।
রচনাকাল :
ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
এবং প্রবােধচন্দ্র বাগচী মহাশয় নানা
দিক বিচার করে প্রমাণ
করেছেন
এই পদগুলি দশম থেকে
দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যেই রচিত হয়েছিল। আর
এর গীতিকারেরা
সকলেই
হয় প্রাচীন বাংলার অধিবাসী ছিলেন,
নয় তাদের বাংলাদেশ ও
বাঙালির জীবন সম্পর্কে
গভীর
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছিল।
কবি পরিচিতি :
| চর্যাগীতি
রচয়িতাদের সকলের জীবন সম্পর্কে
প্রাপ্ত তথ্য যথেষ্ট নয়। বরং
তা বেশিরভাগ।
ক্ষেত্রেই
স্বল্প এবং পরস্পরবিরােধী।
তবে তার মধ্য থেকেই
আমরা জানতে পারি মােট
চব্বিশ জন।
কবির
কথা। যার
মধ্যে কাহ্নপাদের (বা কৃষ্ণাচার্য) সর্বাধিক
বারােটি, ভুসুকুপাদের আটটি, সরহপাদের।
চারটি,
কুক্কুরীপাদের তিনটি, লুইপাদ-শান্তিপাদ-সবরপাদের দুটি এবং ডােম্বীপাদ,
চাটিল পাদ, দ্বারিক
পাদ,
ধামপাদ প্রমুখের একটি করে পদ
আছে। হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী অনুমান করেছিলেন এঁরা
সকলেই বৌদ্ধ
সহজিয়া
সিদ্ধাচার্য। কিন্তু
পরবর্তীকালে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে
মহাযান, বজ্রযান, সহজযান, হীনযান।
ইত্যাদি
বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা এবং
সর্বোপরি তান্ত্রিক মত, চর্যার বিভিন্ন
গানে নানা অভিব্যক্তি।
নিয়ে
প্রকাশিত হয়েছে। তাই
এখানেও সমন্বয়ী ভাবনাই প্রাধান্য পেয়েছে। যে
সমস্ত চর্যাকারেরা।
তাত্ত্বিক
দিকটিকে প্রচ্ছন্ন রেখে সমকালীন কোনাে
রূপছবির সাহায্যে তাকে ফুটিয়ে তুলেছেন,
সেখানে।
পদগুলি
কাব্যসম্ভাবনাময় ও গীতমাধুর্যের প্রকাশক। এক্ষত্রে
ভুসুকুপাদ, শবরপাদ, ঢেণ্টনপাদ প্রমুখের ।
নাম
আলাদা করে উল্লেখ করতে
হয়।
কাব্যমূল্য :
বাংলা
সাহিত্যের ইতিহাসে এই গানগুলির মূল্য
আমরা বিচার করব।
বৌদ্ধ সাধনার গুঢ় ইঙ্গিত।
এবং
সেই সাধনপথের আনন্দকে প্রকাশ করার জন্য
এই গানগুলাে লেখা, শুধুমাত্র কাব্যসৃষ্টির
জন্য।
নয়। কিন্তু
আশ্চর্যের বিষয় এই গানগুলির
প্রবর্তিত খাতেই পরবর্তীকালে বৈষ্ণব
সহজিয়া গান, বৈষ্ণব
ও শাক্ত পদাবলি,
আউল-বাউল-মারিফতি-মুর্শিদি
গানের প্রবাহ চলেছে।
চর্যাপদের
প্রায় সবকটি গানই মাত্রাবৃত্ত
ছন্দে লেখা, অন্ত্যমিলযুক্ত এবং
কোথাও কবির নাম অনুল্লিখিত থাকলেও সবক্ষেত্রে রাগরাগিণীর
নির্দেশ বেশ স্পষ্ট, যেমন
মল্লার, বঙ্গালি ইত্যাদি। আর
চর্যায় গানগুলিতে লৌকিক জগতের যে
চিত্রময় বর্ণনা আছে তা
আমাদের অভিভূত করে।
শবরপাদের
২৮নং পদটি উদ্ধার করা
যাক উঁচা উচা পাবত
তঁহি বসই সবরী বালী।। মােরঙ্গি
পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত
গুঞ্জরী মালী। উমত
সবরাে পাগল সবরাে মা
কর গুলী গুহাড়া তােহৌরিণিঅ
ঘরিণী নামে সহজ সুন্দরী।।
গাণা
তরুবর মৌলিল রে গঅণত
লাগেলী ডালী। একেলী
সবরী এ বন হিন্ডই
কর্ণকুণ্ডলবভ্রধারী।।(উঁচু
উঁচু পাহাড়ে শবরী বালিকা বাস
করে, শবরী ময়ূরপুচ্ছ পরেছে
আর তার গলায় গুঞ্জাফুলের
। মালা।
ওগগা উন্মত্ত শবর, পাগল শবর,
গােল করাে না।
আমি তােমারই গৃহিণী, নামে সহজ সুন্দরী। নানা
বৃক্ষ মুকুলিত হলাে। আকাশ
স্পর্শ করেছে তাদের পুষ্পিত
ডাল। শবরী
নানা ভূষণে সেজে এ
অরণ্যে একা ঘুরে বেড়ায়।)
এখানে কবির রূপানুরাগ
অনবদ্য। ময়ূরপুচ্ছ
ও গুঞ্জার মালায় সজ্জিত শবরী
বালিকা এবং
পুস্পিত
শাখায় পল্লবিত প্রকৃতির চিত্ররূপের মধ্যে শবরের প্রেমানুভূতির
ব্যঞ্জনা আধুনিক কবিতা
পাঠককেও
আলােড়িত করে, যার আবেদন
চিরকালীন। এইরকম
শবরপাদের আরেকটি পদ—...হেরি
সে মেরি তইলা বাড়ী
খসমে সমতুলা। সুকড়
এসে রে কপাসু ফুটিলা।। তইলা
বাড়ীর পাসেঁর জোহ্নাবাড়ী এলা।। ফিটেলি
অন্ধারি রে আকাশফুলিলা।।
কচিনা পাকেলা রে শবরাশবরি
মাতেলা। অণুদিণ-শবরে কিম্পি ন
কেবই মহাসুহেঁ ভেলা।। (আমার উঁচুতে ঘর। কার্পাসফুলে
তার চারপাশ ভরে গেছে। বাড়ির
পাশে চাঁদ উঠেছে।
জ্যোৎস্নার আলােয় আঁধার কেটে
গিয়ে যেন অজস্র ফুল
ফুটেছে আকাশে। কঙ্গুচিনা
ফল পেকেছে আর শবর-শবরী প্রেমাবেগে মেতে
উঠেছে।) এভাবে
চর্যাপদে বারবার সাধারণ মানুষের
জীবনের নিখুঁত বিবরণ কাব্যময়তার
মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। নদী,
মাটি, ডালপালা, নৌকা, দাড়, ঘাট,
অরণ্য, হরিণ, শবর-শবরী,
ডােম্বী, ব্রাহ্মণ প্রভৃতি বিভিন্ন বিচিত্র অথচ দৈনন্দিন অনুষঙ্গকে
চর্যাকারেরা অনায়াসে ব্যবহার করেছেন। চারপাশের। চেনা
জগতের ছােটো ছােটো খণ্ড
মুহুর্ত, বাস্তব জীবনের দৃশ্য
যেন ছায়াছবির মতাে বারবার ফিরে। আসে। শান্ত
সন্ধ্যায় আরতির ঘণ্টা, গােরুর
দুধ দোয়া ও উষ্ণ
দুধের গন্ধ, অরণ্যের আঁধারে
শিকারির হরিণ ধরা, গ্রাম্য
বধুর বিষন্ন মুখ, মাদলের
আওয়াজে বােঝা যায় বর
চলেছে বধু আনতে, সেখানে। স্বীআচার,
বাসরঘর, অথবা ‘নিসি অন্ধারী
মুসা অচারা’—অন্ধকারে ইদুরের ঘােরাফেরা এবং
সর্বোপরি
নদীময়
বাংলার শান্ত তরঙ্গের উত্তাল
সজলতার কথা নানান অর্থে
ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা
জানি চিত্র ধর্মিতা কবিতায়
একটি বিশিষ্ট দিক। বিশেষ
করে মানুষ আর প্রকৃতির
সহজ ও গভীর সম্পর্কের
চিত্র গীতিময় চর্যাপদ আমরা প্রথম খুঁজে
পেলাম।
সমাজ ও লৌকিক জীবন :
আভাস
দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
কেননা এই গানগুলির বস্তুগত
খুঁটিনাটির মধ্যে প্রাচীন বাংলার
লৌকিক
জীবনের
তলদেশ পর্যন্ত প্রতিফলিত হয়েছে। কেমন
ছিল সেই বাংলা, দেখা
যাক—দরিদ্র নিম্নবিত্ত
বাঙালির
জীবনে সনাতন দুঃখ-দুর্দশার
অন্ত ছিল না।টালত মাের ঘর
নাহি পড়বেষী।
হাড়ীত
ভাত নাহি নিতি আবেসী।।। বেংগ
সংসার বড়হিল জাজ।
দুহিল দুধু কি বেল্টে
যামায়।। (চর্যা
৩৩ / ঢেণ্টন পা) [অর্থাৎ
টিলার উপরে আমার ঘর,
সেখানে প্রতিবেশী নেই, হাঁড়িতে ভাত
নেই, নিত্য উপবাস।
অথচ
ব্যাঙের সংসার ক্রমশ বেড়েই
চলে।] এখানে
লক্ষণীয় বাঙালির প্রিয় খাদ্য এই
ভাত। যােগেশচন্দ্র
রায়
বিদ্যানিধির মতে আদি অস্ত্রালদের
প্রধান খাদ্যবস্তু ছিল ভাত।
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ভাতের এই
ভূমিকা
আদি অস্ত্রালদের কাছ থেকেই পাওয়া,
পরে যা বাঙালি সংস্কৃতির
সঙ্গে ওতপ্রােত হয়ে গেছে।
এছাড়াও পরনের ছেড়া কাপড়,
ভাঙা কলসি, জীর্ণ কুঁড়ে
ঘরের চাল উড়ে যাওয়া,
মাটির দেয়াল গলে পড়ার
ছবি—এক লহমায় শবর-শবরী, ডােম-ডােমনী,
নিষাদপ্রভৃতি সমাজের প্রান্তীয় মানুষগুলির
নিঃস্ব নিরানন্দময় জীবনের দৈনন্দিন বাস্তবতাকে
স্পষ্ট করে তােলে।
এই অভিশাপগ্রস্ত জীবনে একমাত্র বিনােদন
ছিল যূথবদ্ধ নাচ, গান এবং
গ্রামীণ উৎসব। তাই
যৌথ নাচ-গানের প্রসঙ্গ
বারবার বিভিন্ন চর্যাগানে ফিরে ফিরে আসে। আর। সেইসঙ্গে
ঘর-গেরস্থালি আর বিবাহের প্রসঙ্গও
এসে যুক্ত হয়।
মাদল বাজিয়ে বরের বিয়ে করতে
যাওয়া, কপূর দিয়ে পান
খাওয়া এবং বধূসাজে অলংকৃত
রমণীর বাসরঘরে অন্যান্য মেয়েদের ভিড় করার ছবিও
কবিতায় অনায়াসে উঠে আসে।
সে সময়ও বিবাহে বরপক্ষ
যৌতুক নিত এবং বেশি
যৌতুকের লােভে নীচুজাতের মেয়েকে
বিয়ে করতেও দ্বিধা করত
না। এই
সত্য কাহ্ন পা ('ভবনির্বামে
পড়হ
মাদল। চর্যা
১৯) ডােম্বীকে বিয়ে করার মধ্যে
দিয়ে পাঠককে জানিয়েছেন।
তখনকার দিনে রাত্রে চোর
ডাকাতের উপদ্রব ছিল, মধ্যরাতে
চোর বউয়ের গভরণ খুলে
নিয়ে যায় ('দলি চটি
পিটা ধরণ ন জাই। চর্যা
২)। তাই
চোর আটকানাের জন্য প্রহরীরও প্রয়ােজন
হতাে (সুন বাহ।
তথতা পহারী। চর্যা
৩৬)। সমাজে
শ্রেণিভেদ, বর্ণভেদ ও অস্পৃশ্যতা ছিল। ডােম,
নিষাদ, শবরের গ্রামের বাইরে,
উ টিলায় বাস করত। ব্রাহ্মণরা
তাদের ছয়েও দেখত না। এই
প্রবাসী মানুষগুলােতে বৃত্তি ছিল তুলে
বােনা, দই বানানাে, মদ
বিক্রি, মাছধরা, নৌকা চালানাে, পশুপাখি
ধরা, জাদুবিদ্যা, সাপের খেলা দেখানাে
ইত্যাদি। আর
ধনীর ঘরে সােনা রুপাের
অভাব ছিল না।
তারা বেশ আড়ম্বর করে
মন্ত্র-তন্ত্র পাঠ করে
পুজো করতেন।—এই
ধরনের নানান টুকরাে অথচ
নিখুঁত লােকজীবনের ঘটনা-মুহূর্ত
ও কৃষিকেন্দ্রিক নদীময় গ্রামীণ বাংলার
ছবি দিয়ে চর্যাগীতিগুলি গড়া। সেখানে
উচ্চবর্ণের মানুষদের পরিবর্তে প্রক্তিক অনার্য-অতি-সাধারণ
মানুষের তথাকথিত অমার্জিত জীবন; সমাজ-রাজনৈতিক
টানাপােড়েন ও অবক্ষয়ের দুর্বিপাকেও
সুখদুঃখের আলাে-আঁধারিতে ভরা
তাদের বেঁচে থাকার ঐতিহাসিক
উজ্জ্বলতা ছত্রে ছত্রে ধ্রুব
হয়ে দেখা দেয়।
বাংলা কবিতায় চর্যাগীতির হাত ধরেই নিঃস্ব,
অত্যজ, দরিদ্র ও অসহায়
মানুষের নাচে-গানে-আক্ষেপে
মানবতার উদ্বােধন ঘটেছিল, একথা আজ আমরা
বলতেই পারি।।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Thank you for contacting MM INSTITUTION! Please let us
know how we can help you.
👉👉join my telegram
group:
👉👉join my Facebook
page: